সঙ্গীতচর্চার গুরুত্ব ও এর সাথে নিফাকের কথিত সম্পর্ক
وقال إمام الحرمين في النهاية وابن أبي الدم: نقل الاثبات من المؤرخين أن عبد الله بن الزبير كان له جوار عوادات، وأن ابن عمر دخل عليه وإلى جنبه عود فقال: ما هذا يا صاحب رسول الله؟ فناوله إياه فتأمله ابن عمر فقال: هذا ميزان شامي، قال ابن الزبير: يوزن به العقول.
ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনি তার নিহায়া গ্রন্থে এবং ইবনে আবিদ দাম তার কিতাবে লিখেছেন,
নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের বেহালা (উদ) বাজাতে দক্ষ কিছু দাসী ছিল। একদিন সাহাবি ইবনে উমার তার ঘরে ঢুকে তার পাশে বেহালা দেখতে পান এবং প্রশ্ন করেন, 'হে রাসুলের সাহাবি! এটা কী জিনিস?' ইবনে যুবায়ের বেহালাটি তার হাতে দেন। ইবনে উমার দেখেশুনে বলেন, 'এটাতে শামদেশের ছন্দ তৈরি হয়' আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের বললেন, 'সঙ্গীতের মাধ্যমে আকলে ভারসাম্য আসে।'
وروى الحافظ أبو محمد بن حزم في رسالته في السماع بسنده عن هشام بن زيد ثنا حسان عن محمد بن سيرين ابن سيرين قال: أن رجلا قدم المدينة بجوار فنزل على عبد الله بن عمر وفيهن جارية تضرب، فجاء رجل فساومه فلم يهو منهن شيئا، قال: انطلق إلى رجل هو أمثل لك بيعا من هذا، قال: من هو؟ قال: عبد الله بن جعفر فعرضهن عليه فأمر جارية منهم فقال لها: خذي العود فأخذته فغنت فبايعه ثم جاء إلى ابن عمر
ইমাম ইবনে হাযম তার রিসালা ফিস সিমা ওয়াল মালাহি তে হিশাম থেকে হাসসান সুত্রে তাবেয়ি মুহাম্মদ বিন সিরিনের বরাতে উল্লেখ করেছেন যে,
মদিনাতে এক লোক কিছু দাসী নিয়ে আসে এবং আব্দুল্লাহ বিন উমারের কাছে উপস্থিত হয়। দাসীদের একজন ছিল বাদ্য ব্যবহার করত। এক বিক্রেতা এসে লোকটির সাথে দরদাম করে কিন্তু মূল্য কমাতে অক্ষম হয়। ইবনে উমার তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, 'তুমি এমন ব্যক্তির কাছে যাও যিনি এই দাসীকে ক্রয় করার উপযুক্ত' বিক্রেতা জিজ্ঞেস করে, "কে তিনি?" ইবনে উমার বলেন, 'আব্দুল্লাহ বিন জাফর'। বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বিন জাফরের কাছে দাসীদের উপস্থিত করে এবং সেই বাদ্যে পটু মেয়েকে বলে 'বেহালা নাও'। সে বেহালা নেয় এবং গান গেয়ে শোনায়। আব্দুল্লাহ বিন জাফর তাকে ক্রয় করে নেন।
আল্লামা শাওকানি বলেন,
وروى صاحب العقد العلامة الأديب أبو عمر الأندلسي أن عبد الله بن عمر دخل على أبي جعفر فوجد عنده جارية في حجرها عود ثم قال لابن عمر:
هل ترى بذلك بأسا؟ قال: لا بأس بهذا. وحكى الماوردي عن معاوية وعمرو بن العاص أنهما سمعا العود عند ابن جعفر. وروى أبو الفرج الأصبهاني أن حسان بن ثابت سمع من عزة الميلاء الغناء بالمزهر بشعر من شعره.
'আল আকদ' গ্রন্থকার সুসাহিত্যিক আবু উমার আল তালামানকি আল আন্দালুসি বর্ণনা করেছেন, আব্দুল্লাহ বিন উমার একদিন আব্দুল্লাহ বিন জাফরের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন সেখানে এক দাসী রয়েছে যার কোলে একটি বেহালা। আব্দুল্লাহ বিন জাফর সাহাবি ইবনে উমারকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি কি এই কাজে কোন সমস্যা দেখেন?' তিনি উত্তর দেন, 'না, কোন সমস্যা নেই।' এছাড়াও ইমাম আল মাওয়ারদি মুয়াবিয়া ও আমর বিন আস থেকে বেহালা শোনার ঘটনা উল্লেখ করেছেন। আবুল ফারাজ ইসফাহানি উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলের সভাকবি হাসসান বিন সাবেত গায়িকা আযযা আল মায়লার কণ্ঠে ঝুনঝুনি বাজিয়ে তার এক কবিতা শুনেছেন।
ইবনে হাযম রহিমাহুল্লাহ সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন উমার ও আব্দুল্লাহ বিন জাফরের ঘটনা উল্লেখ শেষে বলেন,
فهذا عبد الله بن جعفر وعبد الله بن عمر رضي الله عنهما قد سمعا الغناء بالعود، وإن كان ابن عمر كره ما ليس من الجد فلم ينه عنه، وقد سفر في بيع مغنية كما ترى، ولو كان حراماً ما استجاز ذلك أصلاً.
فإن قال قائل: قال الله تعالى {فماذا بعد الحق إلا الضلال} (يونس: 32) ففي أي ذلك يقع الغناء قيل له: حيث يقع التروح في البساتين وصباغ ألوان الثياب وكل ما هو من اللهو ؛ قال رسول الله: " إنما الأعمال بالنيات، وإنما لكل امرئ ما نوى " فإذا نوى المرء بذلك ترويح نفسه وإجمالها لتقوى على طاعة الله عز وجل فما أتى ضلالاً. وقد قال أبو حنيفة: من سرق مزماراً أو عوداً قطعت يده ومن كسرهما ضمنهما
'এই দেখো! আব্দুল্লাহ বিন জাফর ও আব্দুল্লাহ বিন উমার দুজনেই বেহালার সাথে গান শুনেছেন। যদি ইবনে উমারের মতে গানবাদ্য অপছন্দনীয় হত। যদিও ইবনে উমার বিনোদনমূলক বিষয়গুলো পছন্দ করতেন, তিনি এই কাজে অন্যকে নিষেধ করেন নি। এমনকি তিনি এক গায়িকা কিনে দিতে সফর পর্যন্ত করেছেন যা এই ঘটনার শেষে বর্ণিত আছে।' যদি তার মতে এটা হারাম হত, তিনি তো এর অনুমতিই দিতেন না। যদি কেউ বলে যে, আল্লাহ বলেছেন 'সত্য প্রকাশের পর পথভ্রষ্টতা ছাড়া কি বাকি থাকে?' তাহলে গানবাদ্য কোন প্রকারের অন্তর্ভূক্ত হবে? উত্তরে বলা হবে, 'গানবাদ্যের জন্য সেই হুকুমই প্রযোজ্য হবে যে হুকুম প্রযোজ্য শৌখিন রঙিন কাপড় পরা, মনোরম জায়গায় ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি বিনোদনের প্রকারে।' আল্লাহর নবি এরশাদ করেছেন, 'সকল কাজ নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। নিয়ত অনুযায়ী ব্যক্তি ফল লাভ করবে' সুতরাং কেউ যদি প্রশান্তি ও শৌখিনতায় লিপ্ত হয় যাতে করে যার মাধ্যমে সে আল্লাহর আনুগত্য ও তাকওয়াতে সহায়তা লাভ করে তবে গানবাদ্য শোনাতে পথভ্রষ্টতা কোথা থেকে আসবে? ইমাম আবু হানিফা বলেছেন, কেউ যদি কারো বাঁশী কিংবা বেহালা চুরি করে তবে তার হাত কেটে দেয়া হবে। যদি ভাঙচুর করে তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।'
Comments
Post a Comment