Skip to main content

বাদ্যযন্ত্র হারাম হওয়ার মতটি কীভাবে মুসলিম বিশ্বে প্রচার-প্রসার পেল?

 বাদ্যযন্ত্র হারাম হওয়ার মতটি কীভাবে মুসলিম বিশ্বে প্রচার-প্রসার পেল?


এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আমরা একজন ব্যক্তির সাথে পরিচিত হয়ে নেই, চলুন।


ইমাম যাহাবি তার সিয়ারু আলামিন নুবালাতে লিখেছেন,


إبراهيم بن سعد

ابن إبراهيم بن صاحب رسول الله - صلى الله عليه وسلم - عبد الرحمن بن عوف . الإمام الحافظ الكبير أبو إسحاق القرشي الزهري العوفي المدني .

حدث عن أبيه قاضي المدينة ، وعن قرابته ابن شهاب الزهري

روى عنه ولداه : يعقوب وسعد ، وشعبة ، والليث وهما أكبر منه . وأبو داود الطيالسي ، وابن مهدي ، وابن وهب ، ويحيى بن آدم ، ويزيد بن هارون ، ومحمد بن الصباح الدولابي ، والقعنبي ، وأحمد بن حنبل

وروى أحمد بن سعد بن أبي مريم ، عن يحيى بن معين قال : ثقة حجة .


"ইব্রাহীম বিন সাদ।

তার দাদা ছিলেন ইব্রাহীম যার বাবা হচ্ছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবি আব্দুর রহমান বিন আওফ।

তিনি একজন ইমাম। হাদিসশাস্ত্রের বিরাট একজন হাফেয।

তার উপাধি আবু ইসহাক। আল কুরাশি। আয যুহরি। আল আওফি। আল মাদানি।

তার পিতা সাদ থেকে তিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যিনি ছিলেন মদিনার কাযী। এছাড়াও বর্ণনা করেছেন তার নিকট আত্মীয় ইবনে শিহাব আয যুহরী থেকে।

তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তার দুই পুত্র ইয়াকুব ও সাদ। এছাড়াও তার কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন শো'বা ও লাইস। যারা দুজনেই বয়সে তার চেয়ে বড় ছিলেন। আরো রয়েছেন, আবু দাউদ আত তায়ালিসি, ইবনে মাহদী, ইবনে ওয়াহব, ইয়াহিয়া বিন আদাম, ইয়াযিদ বিন হারুন, মুহাম্মদ বিন সাবাহ দুলাবি, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল ...

ইয়াহিয়া বিন মাঈনকে তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, তিনি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। তার বর্ণনা হুজ্জত।"


قلت : كان ممن يترخص في الغناء على عادة أهل المدينة ، وكأنه ليم في ذلك ، فانزعج على المحدثين ، وحلف أنه لا يحدث حتى يغني قبله


'আমি (ইমাম যাহাবি) বলি : মদীনাবাসীদের রীতি অনুযায়ী ইব্রাহিম বিন সাদ গানবাদ্যের ব্যাপারে রোখসত (ছাড়, অনুমতি) প্রদান করতেন। যে কারণে তাকে কিছুটা বাঁকা চোখে দেখা হত। তিনি এতে মুহাদ্দিসদের উপর চটে যান এবং কসম করেন যে, আগে গান গেয়ে শোনাবেন, তারপর হাদীস! ' 


সুত্র : সিয়ারু আলামিন নুবালা।


ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আমরা তারিখে বাগদাদ কিতাব থেকে দেখব। ইব্রাহিম বিন সাদ বেড়ে উঠেছেন রাসুলের শহর মদিনা মুনাওয়ারাতে।


أخبرنا علي بن أبي علي المعدل، قال: حدثنا أبو بكر محمد بن إسحاق بن إبراهيم بن يزيد بن مهران الصفار الضرير، قال: حدثنا علي بن الحسن بن خلف بن قديد أبو القاسم، بمصر، قال: حدثنا عبيد الله بن سعيد بن كثير بن عفير، عن أبيه، قال :


খতীবে বাগদাদী তার 'তারিখে বাগদাদ' কিতাবে নিজস্ব সনদে (আরবিতে উল্লেখ আছে) বর্ণনা করেন :


قدم إبراهيم بن سعد الزهري العراق سنة أربع وثمانين ومائة، فأكرمه الرشيد وأظهر بره، وسئل عن الغناء فأفتي بتحليله، وأتاه بعض أصحاب الحديث ليسمع منه أحاديث الزهري فسمعه يتغنى. فقال: لقد كنت حريصا على أن أسمع منك، فأما الآن فلا سمعت منك حديثا أبدا. فقال: إذا لا أفقد إلا شخصك. علي وعلي إن حدثت ببغداد ما أقمت حديثا حتى أغني قبله، وشاعت هذه عنه في بغداد، فبلغت الرشيد فدعا به فسأله عن حديث المخزومية التي قطعها النبي صلى الله عليه وسلم في سرقة الحلى، فدعا بعود، فقال الرشيد:

أعود المجمر؟ قال: لا، ولكن عود الطرب. فتبسم ففهمها إبراهيم بن سعد، فقال:

لعله بلغك يا أمير المؤمنين حديث السفيه الذي آذاني بالأمس وألجأني إلى أن حلفت؟

قال: نعم! ودعا له الرشيد بعود فغناه:


"ইব্রাহিম বিন সাদ ১৮৪ হিজরিতে খলিফা হারুনুর রশিদের নিমন্ত্রণে ইরাকে আসেন। রশিদ তাকে সশ্রদ্ধ আপ্যায়ন করেন। তার প্রতি ভক্তি-সম্মান প্রদর্শন করেন। বাগদাদে তাকে গানবাদ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি একে হালাল বলেন। হাদিস চর্চাকারীদের একজন তার কাছে আসেন তার আত্মীয় ইবনে শিহাব আয যুহরির হাদিস শুনতে। কিন্তু তিনি এসে দেখলেন যে, ইব্রাহিম বিন সাদ গান গাচ্ছেন। এটা দেখে বলে ওঠেন, 'আমার খুব ইচ্ছা ছিল আপনার কাছ থেকে হাদিস শুনব। কিন্তু এখন যা দেখলাম তার কারণে কোন হাদিসই শুনব না আপনার থেকে।' এর জবাবে তিনি বলেন, 'তুমি চলে গেলে আমি কেবল একজন ছাত্র হারাব। আর আমি নিজের উপর কসম করে নিলাম যে, এই বাগদাদে যতদিন থাকব, ততদিন হাদিসের মজলিস শুরু করার আগে আমি গানবাদ্য করে নিব।' তার এই বক্তব্য বাগদাদে রটিয়ে পড়ে। এমনকি খলিফা হারুনুর রশিদের কানে পৌঁছে। তিনি তাকে আসতে বলেন এবং কাপড় চুরির কারণে রাসুল যে মাখযুমিয়া নারীর হাত কেটেছিলেন সে হাদিসটি শুনতে চান। এটা জিজ্ঞেস করেই তিনি উদ (ছবিতে দেখুন) নিয়ে আসার আদেশ দেন এবং জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি কোন উদ দিয়ে গাইবেন? উদে মিজমার নাকি উদে তরব?' ইব্রাহিম বিন সাদ খলিফার উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন এবং হেসে ফেলেন। আর বলেন, 'আপনি উদে তরব-ই নিয়ে আসুন। হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার কানে হয়ত সেই নির্বোধ লোকের ঘটনা পৌঁছেছে যে গতকাল আমাকে কষ্ট দিয়েছিল।' রশিদ বলেন, হ্যাঁ। অতঃপর রশিদকে তিনি উদ বাজিয়ে গান গেয়ে শোনান -


يا أم طلحة إن البين فد أفدا * قل الثواء لئن كان الرحيل غدا


'হে উম্মে তালহা! বিরহের সময় ঘনিয়ে এসেছে

সময় বেশি নেই, কালই আমায় বিদেশ যেতে হবে'


 فقال الرشيد: من كان من فقهائكم يكره السماع؟ قال: من ربطه الله. قال: فهل بلغك عن مالك بن أنس في هذا شيء؟ قال: لا والله إلا أن أبي أخبرني أنهم اجتمعوا في مدعاة كانت في بني يربوع، وهم يومئذ جلة، ومالك أقلهم من فقهه وقدره، ومعهم دفوف ومعازف وعيدان يغنون ويلعبون، ومع مالك دف مربع وهو يغنيهم:


হারুনুর রশিদ প্রশ্ন করেন, আপনাদের মদিনার কোন ফকিহ কি সঙ্গীত অপছন্দ করতেন? তিনি বলেন, যাদের চিন্তাকে আল্লাহ আটকে রেখেছেন তারা এমন বলে।


রশিদ বলেন ইমাম মালেক এর এই সম্পর্কে বক্তব্য কি আপনি জানেন? তিনি জবাব দেন: আমি সরাসরি শুনি নি। কিন্তু আল্লাহর কসম করে বলি যে আমার বাবা (মদিনার কাযী) আমাকে ঘটনা বলেছেন যে তিনি একবার মদিনার বনু ইয়ারবু পাড়ায় এক দাওয়াতে অংশ নেন। দাওয়াতে অনেক বড় ব্যক্তিত্ব অংশ নেন। মালেক ছিলেন তাদের মধ্যে ফিকহ ও যোগ্যতার দিক থেকে সর্বকনিষ্ঠ। দাওয়াতে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের হাতে ছিল দফ, বাদ্যযন্ত্র আর উদ। তারা গান গাইছিলেন ও আনন্দ করছিলেন। ইমাম মালেকের কাছে একটি চতুষ্কোণ দফ ছিল, তিনি তা বাজিয়ে গেয়ে উঠেছিলেন : 

  

سليمى أزمعت بينا * فأين لقاؤها أينا

وقد قالت لأتراب * لها زهر تلاقينا

تعالين فقد طاب * لنا العيش تعالينا


"হায় সুলায়মা! সে বিচ্ছেদের পণ করেছে।

কবে যে তার সাথে মিলন হবে? কবে দেখা হবে?

বান্ধবীদের সে বলেছে তার একটি গোলাপ আছে

চলে এসো। আমাদের আজ দেখা হবে।

স্নিগ্ধ হবে এই জীবন। চলে এসো। চলে এসো"


فضحك الرشيد ووصله بمال عظيم. وفي هذه السنة مات إبراهيم بن سعد وهو ابن خمس وسبعين سنة، يكني أبا إسحاق


হারুনুর রশিদ হেসে ওঠেন এবং তাকে বিরাট ধনসম্পদ উপঢৌকন হিসেবে দান করেন। আর এই বছরই তিনি ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তার কুনিয়া ছিল আবু ইসহাক।"


সুত্র : তারিখে বাগদাদ। 


আমাদের মূল আলোচনায় চলে আসি। সালাফে সালেহিনের যুগে গানবাদ্য অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয় ছিল। তাহলে ঠিক কী কারণে ধীরে ধীরে মুসলিম বিশ্বের মাঝে গানবাদ্য বিরোধী মতটি জেঁকে বসল? এর জবাবটি দিয়েছেন ইমাম ইবনে তাহের আল কায়সারানী রহিমাহুল্লাহ তার গ্রন্থে।


ইবনে তাহের আল কায়সারানি বলেন,


وهُؤُلاءِ الأئِمَّةُ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْهُ هُمْ أهْلُ الحَلِّ والعَقْدِ فِي الآفاقِ، إنَّما سَمِعُوا عَنْهُ ورَوَوْا عَنْهُ بَعْدَ اسْتِماعِهِمْ غِناءَهُ، وعِلْمِهِمْ بِأنَّهُ يُبِيحُهُ، وفِيهِمُ الإمامُ المُسْتَخْلَفُ عَلى الأُمَّةِ والإمامُ المُقْتَدى بِهِ فِي الوَرَعِ. أبُو عَبْدِ اللَّهِ أحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ ﵁ إنَّما سَمِعَ مِنهُ / غِناءَهُ بِبَغْدادَ بَعْدَ حَلِفِهِ. ولا أشُكُّ أنَّ أحْمَدَ سَمِعَ غِناءَهُ ثُمَّ سَمِعَ حَدِيثَهُ، وهَذا أمْرٌ لَمْ يَرِدْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - ﷺ  - فِي تَحْلِيلِهِ ولا فِي تَحْرِيمِهِ نَصٌّ يُرْجَعُ إلَيْهِ، ويُعَوَّلُ عَلَيْهِ. فَكانَ حُكْمُهُ الإباحَةَ وإنِّما تَرَكَهُ مَن تَرَكَهُ مِنَ المُتَقَدِّمِينَ تَوَرُّعًا كَما تَرَكُوا لُبْسَ اللَّيِّنِ، وأكْلَ الطَّيِّبِ وشُرْبَ البارِدِ والاسْتِمَتاعَ بِالنِّسْوانِ الحِسانِ ومَعْلُومٌ أنَّ هَذا كُلَّهُ حَلالٌ لِفاعِلِهِ، وقَدْ تَرَكَ رَسُولُ الله - ﷺ  - أكْلَ، الضَّبِ وسُئِلَ عَنْهُ: أحَرامٌ هُوَ؟ قالَ: لا. ولَكِنْ لَمْ يَكُنْ بِأرْضِ قَوْمِي وأُخِذَ وأُكِلَ بَين يَدَيْهِ - ﷺ  -، ثُمَّ جاءَ قَوْمٌ بَعْدَ هَذا الصَّدْرِ فَغَلَّظُوا القَوْلَ فِيهِ مَخافَةَ أنْ يَشْتَغِلَ النّاسُ بِهِ عَمّا هُوَ أوْلى مِنهُ ثُمَّ جاءَ قَوْمٌ بَعْدَ هُؤُلاءِ فَحَرَّمُوهُ جَهْلا وتَقَرُّبًا إلى العامَّةِ بِالزُّهْدِ والصَّلاحِ، ولَمْ يَقِفُوا عَلى حَقِيقَةِ عِلْمِهِ. وبَدْءِ أمْرِهِ واللَّهُ أعْلَمُ بِالصَّوابِ.


এই যে ইব্রাহিম বিন সাদ থেকে যারা হাদিস বর্ণনা করেছেন তারা ছিলেন ইলমের জগতের হর্তা-কর্তা। তারা ইব্রাহিম বিন সাদের সঙ্গীত শোনার পরই কেবল হাদিস শুনেছিলেন। তারা সবাই জানতেন যে, তিনি গানবাদ্যকে জায়েয বলেন। আর এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন উম্মতের আশাভরসার পাত্র মহান এবং যিনি খোদাভীরুতায় একজন কিংবদন্তী ছিলেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আবু আব্দিল্লাহ আহমদ বিন মুহাম্মদ বিন হাম্বল। ইব্রাহিম বিন সাদ গান না শুনিয়ে হাদিস শোনাবেন না এমন প্রতিজ্ঞার পরেই তিনি তার কাছ থেকে হাদিস শুনেছিলেন। কোন ধরণের সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় যে, আহমদ প্রথমে তার গান শুনেছেন, অতঃপর তার হাদিস শুনেছেন।

আর এই গানবাদ্য তো এমন বিষয় যার হালাল কিংবা হারাম মর্মে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই যার আলোকে একটি অকাট্য হুকুম দেয়া যাবে। সুতরাং একে এর (আদি বিধান) বৈধতার উপর ছেড়ে দেয়া হবে।

পূর্ববর্তীদের মধ্যে যারা গানবাদ্য পরিহার করেছিলেন তারা মূলত দুনিয়াবিরাগ থেকে তা করেছিলেন। যেভাবে আল্লাহর রাসুল মসৃণ কাপড় পরা, উপাদেয় খাদ্য খাওয়া, শীতল পানি পান, সুন্দরী নারীদের সঙ্গ উপভোগ ইত্যাদি পরিত্যাগ করেছিলেন। আর জানা কথা যে, এগুলো সবই তার জন্য হালাল ছিল। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দব্ব (গিরগিটি সদৃশ মরুভূমির সরিসৃপ) খাওয়া ত্যাগ করেছিলেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় 'এটা খাওয়া কি হারাম?' তিনি বলেছিলেন, 'না, বরং আমার অঞ্চলের মানুষজন এটা খায় না তাই আমার রুচি হয় না' অতঃপর রাসুলের সামনেই মানুষজন দব্ব খায়।


নবি যুগের পরে যে প্রজন্ম আসেন তারা এসব বিষয়ে কঠোরতা করেন যাতে মানুষ উত্তম বিষয়গুলো ছেড়ে এসবে মশগুল না হয়ে যায়। কিন্তু তাদের পর যারা আসে তারা অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে গানবাদ্যকে হারাম ঘোষণা দিয়ে বসে যাতে মানুষের মাঝে দুনিয়া বিরাগী সাধু হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ হয়। তারা এই বিষয়টির প্রকৃত অবস্থা এবং পরিপ্রেক্ষিত অনুধাবন করতে পারে নি। মহান আল্লাহই সঠিক বিষয়ে অধিক জ্ঞাত।  


.أخْبَرَنا أبُو الفَتْحِ عَبْدُ الرّازِقِ بْنُ عَبْدِ الكَرِيمِ الصُّوفِيُّ بِأصْبَهانَ قالَ: أخْبَرَنا /: أبُو الحَسَنِ عَلِيُّ ابْن إبْراهِيمَ بْنِ فِراسٍ إجازَةً قالَ: أخْبَرَنا أبُو سَعِيدٍ أحْمَدُ بْنُ مُحَمَّد ابْن زِيادِ بْنِ الأعْرابِيِّ قالَ: حَدَّثَنا القاسِمُ بْنُ نَصْرٍ. حَدَّثَنا إبْراهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، قالَ: حَدَّثَنا نافِعٌ حَدَّثَنِي مِكْتَلُ بْنُ أبِي سَهْلٍ عَن أبي بكر ابْن عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بن الحارِث ابْن هِشامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثابِتٍ قالَ: إذا رَأيْتَ أهْلَ المَدِينَةِ اجْتَمَعُوا عَلى شَيْءٍ فاعْلَمْ أنَّهُ سنة


আবুল ফাতহ আব্দুর রাযযাক বিন আব্দিল কারিম সুফি আমাদের ইসফাহান শহরে আবুল হাসান আলি বিন ইব্রাহিম বিন ফিরাস থেকে ইজাযতের ভিত্তিতে (মধ্যবর্তী রাবিদের নাম আরবিতে আছে) সাহাবি যায়দ বিন সাবেতের বক্তব্য বর্ণনা করেছেন, 'যদি তোমরা (খাইরুল কুরুনের) মদিনার লোকদের কোন একটি কাজে একমত হতে দেখ, তবে জেনে নিও যে এটা নবির সুন্নাত।'


সুত্র : আস সিমা' লি ইবনিল কায়সারানি।


Comments

Popular posts from this blog

মিউজিকের বিপক্ষে প্রচলিত কিছু হাদীসের জবাব।

নিচের লেখাটি আমার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সাথে হয়েছিল, তাই “তুমি” সম্বোধন ব্যবহার করেছি। প্রথমে আবু উমামার হাদীস নিয়ে কথা বলা যাক। হাদীস ১: তুমি নিচের হাদিসটি উল্লেখ করেছ। عَنْ أَبِيْ اُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لاَ تَبِيْعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوْهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوْهُنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ. আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০)। উত্তর : - এই হাদীস দয়ীফ জিদ্দান (অতি দূর্বল), এমন হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণ দেয়া জায়েয নয়। মিশকাতে এই হাদীস উল্লেখ করে গ্রন্থকার বলেন: رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعلي بن يزِيد الرواي يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ “হাদীসটি আহমদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযি বলেছেন — এটি গরীর (একক সুত্রে বর্ণিত) হাদীস। আর বর্ণনাকারী আলী বিন ইয়াযীদ হাদীসে ...