Skip to main content

সভ্যতাগত সমৃদ্ধির সাথে সঙ্গীতশিল্পের সম্পর্ক : ইবন খালদুন।

 সভ্যতাগত সমৃদ্ধির সাথে সঙ্গীতশিল্পের সম্পর্ক : ইবন খালদুন।

বিভিন্ন হাদীস ও আসারের মাধ্যমে জানা যায় যে রাসূলের জীবদ্দশায় মদীনায় সাহাবিরা গানবাদ্য করেছেন। কিন্তু সঙ্গীত শিল্প বা কলা হিসেবে আবির্ভূত হয় আরো পরে। ইসলামের স্বর্ণযুগ বলে খ্যাত আব্বাসী খিলাফত ও আন্দালুসের উমাইয়্যা সাম্রাজ্যে।

ইমাম ইবন খালদুন তার বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-মুকাদ্দিমা” তে বলেন :

‌‌ الصنائع إنما تكمل بكمال العمران الحضري وكثرته والسّبب في ذلك أنّ النّاس ما لم يستوف العمران الحضريّ وتتمدّن المدينة إنّما همّهم في الضّروريّ من المعاش وهو تحصيل الأقوات من الحنطة وغيرها. فإذا تمدّنت المدينة وتزايدت فيها الأعمال ووفت بالضّروريّ وزادت عليه صرف الزّائد حينئذ إلى الكمالات من المعاش. ثمّ إنّ الصّنائع والعلوم إنّما هي للإنسان من حيث فكره الّذي يتميّز به عن الحيوانات والقوت له من حيث الحيوانيّة والغذائيّة فهو مقدّم لضروريّته على العلوم والصّنائع وهي متأخّرة عن الضّروريّ.

শিল্পকলা পূর্নাঙ্গতা লাভ করে নগরসভ্যতার পরিপূর্ণতা ও ব্যাপকতা লাভের মাধ্যমে। কারণ নগরকেন্দ্রিক জীবন ও নগরসভ্যতা নির্মাণের পূর্বে মানুষের প্রধান চিন্তা থাকে জীবন ধারণে অপরিহার্য চাহিদাগুলো মেটানো যেমন প্রয়োজনীয় খাদ্য ও শস্য জোগাড় করা। কিন্তু নগরের বিকাশ ঘটার পর তাতে যখন কর্মচঞ্চলতা বৃদ্ধি পায় এবং মৌলিক চাহিদাগুলো পূর্ণতা লাভ করে, তখনই মানুষ জীবনের পূর্নাঙ্গতা অর্জনের প্রতি মনোযোগী হবার অবসর পায়। এছাড়াও শিল্পকলা ও জ্ঞানবিদ্যা এমন বিষয় যার মাধ্যমে মানুষ পশু থেকে ভিন্নতা লাভ করেছে। কিন্তু খাদ্যের প্রতি মানুষের জৈবিক ও উদরগত চাহিদা আবশ্যিক চাহিদা হওয়ায় এটাই সবার আগে থাকে। এটা পূরণ হলেই আসে জ্ঞানবিদ্যা কিংবা শিল্পকলা চর্চার পালা।

وعلى مقدار عمران البلد تكون جودة الصّنائع للتّأنّق فيها حينئذ واستجادة ما يطلب منها بحيث تتوفّر دواعي التّرف والثّروة. وأمّا العمران البدويّ أو القليل فلا يحتاج من الصّنائع إلّا البسيط خاصّة المستعمل في الضّروريّات من نجّار أو حدّاد أو خيّاط أو حائك أو جزّار. وإذا وجدت هذه بعد فلا توجد فيه كاملة ولا مستجادة وإنّما يوجد منها بمقدار الضّرورة إذ هي كلّها وسائل إلى غيرها وليست مقصودة لذاتها. وإذا زخر بحر العمران وطلبت فيه الكمالات كان من جملتها التّأنّق في الصّنائع واستجادتها فكملت بجميع متمّماتها وتزايدت صنائع أخرى معها ممّا تدعو إليه عوائد التّرف وأحواله من جزّار ودبّاغ وخرّاز وصائغ وأمثال ذلك. وقد تنتهي هذه الأصناف إذا استبحر العمران إلى أن يوجد فيها كثير من الكمالات والتّأنّق فيها في الغاية وتكون من وجوه المعاش في المصر لمنتحلها.

কোন অঞ্চলের সভ্যতাগত উৎকর্ষ অনুযায়ী সেই অঞ্চলের শিল্পকলা উৎকর্ষ লাভ করে। তখন শিল্পকলার প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। বিলাস ও সম্পদের উৎসগুলো পূর্ণতা লাভ করায় এসবের মূল্যায়ন তৈরি হয়। বিপরীতে যাযাবর কিংবা সভ্যতার দিক থেকে তদপেক্ষা নিম্নবর্তী সমাজে অবশ্য-প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া শিল্পকলার কোন চাহিদা থাকে না। কাঠমিস্ত্রি, কামার, তাঁতী, জোলা কিংবা চর্মকারের দরকার কেবল আবশ্যিক চাহিদাগুলো পূরণেই থাকে। আর এই শিল্পগুলোও থাকে নূন্যতম পর্যায়ে, যতটুকু থাকলে আবশ্যিক চাহিদাগুলো পূর্ণ হয়ে যায় ঠিক ততটুকু পরিমাণে। কারণ এসব সেই সমাজে নিজস্ব গুণের কারণে থাকে না, বরং অন্যান্য চাহিদা নিবারণের তাকিদেই কেবল থাকে। কিন্তু যখন সভ্যতার জোয়ার আসে এবং পূর্নাঙ্গতা অর্জনের তাড়না তৈরি হয়, তখন সেই সমাজে শিল্পকলার প্রতি আকর্ষণ ও মুল্যায়ন তৈরি হয়। ফলে উল্লিখিত শিল্পগুলো পূর্ণতা লাভ করার পাশাপাশি আরো অনেক শিল্প গড়ে ওঠে যার চাহিদা প্রাচুর্যময় সমাজে গড়ে ওঠে। কসাই, চর্মকার, মুচি, বস্ত্র রঞ্জকার ইত্যাদি পেশা তৈরি হয়। আর এই সভ্যতা যখন সিদ্ধি লাভ করে, তখন সমাজে এ ধরণের বহু পূর্নাঙ্গতামূলক বিষয় অস্তিত্ব লাভ করে। এসবের প্রতি চূড়ান্ত আকর্ষণ জন্ম নেয় এবং নগরবাসীর জন্য এগুলো জীবিকা অর্জনের নানান পদ্ধতিতে পরিণত হয়। এমনকি এসবের কদর অন্য যেকোন কাজের চাইতে বেশি হয়ে যায় যেহেতু নগরের প্রাচুর্যগত চাহিদা থেকে এসবের উৎপত্তি ঘটে। যেমন : সুগন্ধি প্রস্তুতকারক, তামার শিল্পকার, হাম্মামের সহযোগী, বাবুর্চি, মোমবাতি প্রস্তুতকারক, চূর্ণকারক, সঙ্গীত, নৃত্য ও সুরময় উপায়ে তবলা বাজানোর শিক্ষকরা। এছাড়াও আছে কাগজ প্রস্তুতকারক যারা বইয়ের লিপি তৈরি, মলাটবদ্ধ করা ও ভুল সংশোধন করার কাজে সহায়তা করে।

وإذ قد ذكرنا معنىالغناء فاعلم أنّه يحدث في العمران إذا توفّر وتجاوز حدّ الضّروريّ إلى الحاجيّ، ثمّ إلى الكماليّ، وتفنّنوا فيه، فتحدث هذه الصّناعة، لأنّه لا يستدعيها إلّا من فرغ من جميع حاجاته الضّروريّة والمهمّة من المعاش والمنزل وغيره فلا يطلبها إلّا الفارغون عن سائر أحوالهم تفنّنا في مذاهب الملذوذات.

সঙ্গীতের অর্থ নিয়ে আলোচনার পর জেনে রাখো! সভ্যতা যখন আবশ্যিকতার ধাপ অতিক্রম করে প্রয়োজনীয়তা, অতঃপর পূর্নাঙ্গতার ধাপে প্রবেশ করে এবং মানুষজন এতে উৎকর্ষ লাভ করে, তখন নানান শিল্পের বিকাশ ঘটে। এসবের চাহিদা তখনই তৈরি হয় যখন জীবিকা ও জীবনধারনের সকল আবশ্যিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের পর অবসর লাভ হয়। আবশ্যিক প্রয়োজনীয়তার ধাপ অতিক্রম করেই কেবল বিলাসিতার পথে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।

فلمّا جاء الإسلام واستولوا على ممالك الدّنيا وحازوا سلطان العجم وغلبوهم عليه وكانوا من البداوة والغضاضة على الحال الّتي عرفت لهم مع غضارة الدّين وشدّته في ترك أحوال الفراغ وما ليس بنافع في دين ولا معاش فهجروا ذلك شيئا ما. ولم يكن الملذوذ عندهم إلّا ترجيع القراءة والتّرنّم بالشّعر الّذي هو ديدنهم ومذهبهم.

ইসলাম আসার পর আরবরা দুনিয়ার রাজত্বগুলোর উপর কর্তৃত্ব লাভ করল, অনারব ভূমিতে জয় ও প্রতিপত্তি অর্জন করল। অথচ এর পূর্বে যাযাবর ও নিম্নমানের জীবনযাপনের পাশাপাশি ধর্মপালনে আন্তরিকতা ও কঠোরতা তাদেরকে অবসর জীবনের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখেছিল। ধর্ম কিংবা জীবনযাপনে উপকারে আসে না এমন সকল কিছুই তারা পরিত্যাগ করত। সুরেলা কোরআন পাঠ কিংবা ছন্দময় কবিতা আবৃত্তিতেই তাদের বিনোদন সীমিত ছিল, আর এটাই ছিল তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রচলন।

فلمّا جاءهم التّرف وغلب عليهم الرّفه بما حصل لهم من غنائم الأمم صاروا إلى نضارة العيش ورقّة الحاشية واستحلاء الفراغ. وافترق المغنّون من الفرس والرّوم فوقعوا إلى الحجاز وصاروا موالي للعرب وغنّوا جميعا بالعيدان والطّنابير والمعازف والمزامير وسمع العرب تلحينهم للأصوات فلحّنوا عليها أشعارهم. وظهر بالمدينة نشيط الفارسيّ وطويس وسائب بن جابر مولى عبد الله بن جعفر فسمعوا شعر العرب ولحّنوه وأجادوا فيه وطار لهم ذكر. ثمّ أخذ عنهم معبد وطبقته وابن سريح وأنظاره. وما زالت صناعة الغناء تتدرّج إلى أن كملت أيّام بني العبّاس عند إبراهيم بن المهديّ وإبراهيم الموصليّ وابنه إسحاق وابنه حمّاد. وكان من ذلك في دولتهم ببغداد ما تبعه الحديث بعده به وبمجالسه لهذا العهد

কিন্তু অনারব জাতিদের নিজদের করায়ত্তে এনে, তাদের থেকে গনিমত হিসেবে লব্ধ ধনসম্পদের মাধ্যেম যখন বিলাসময় ও সুখময় জীবনযাপন ব্যাপক হয়ে গেল, তারা আরাম-আয়েশ, বিনোদন ও অবসর উদযাপনে লিপ্ত হল। পারস্য ও রোমদেশের সঙ্গীতকাররা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। হিজাযে তাদের আগমন ঘটল এবং তারা আরবদের অধীনস্থ হয়ে বাস করা শুরু করল। তারা সেখানে উদ, তানপুরা, তবলা ও বাঁশির মাধ্যমে গেয়ে বেড়াত। আরবরাও তাদের সুরময় ধ্বনি শুনে নিজেদের কবিতাগুলো সেই সুরে সুরময় করল। মদিনায় নাশিত আল ফারেসি, তুয়াইস এবং আব্দুল্লাহ বিন জাফরের অধীনস্থ সাইব বিন জাবেরের উত্থান হল, যারা আরবদের কবিতাগুলোতে সুর তুলত। তাদের নিপুনতার কারণে তারা খ্যাতিমান হয়ে উঠল। অতঃপর তাদের কাছ থেকে এই শিল্প মা’বাদ ও তার সমকালীনরা, ইবনে সুরাইজ ও তার সমকক্ষরা রপ্ত করল। সঙ্গীতের এই শিল্প উৎকর্ষ লাভ করতে করতে আব্বাসীদের সময়ে এসে পূর্ণতা লাভ করল ইব্রাহিম বিন মাহদি, ইব্রাহিম আল-মাওসেলি এবং তার পুত্র ইসহাক ও নাতি হাম্মাদের হাত ধরে। আব্বাসি আমলে এই শিল্পচর্চা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছিল যে তা নিয়ে অদ্যবধি আলোচনা ও আড্ডার আসর জমে ওঠে।

وكان للموصليّين غلام اسمه زرياب أخذ عنهم الغناء فأجاد فصرفوه إلى المغرب غيرة منه فلحق بالحكم بن هشام بن عبد الرّحمن الدّاخل أمير الأندلس. فبالغ في تكرمته وركب للقائه وأسنى له الجوائز والإقطاعات والجرايات وأحلّه من دولته وندمائه بمكان. فأورث بالأندلس من صناعة الغناء ما تناقلوه إلى أزمان الطّوائف. وطما منها بأشبيليّة بحر زاخر وتناقل منها بعد ذهاب غضارتها إلى بلاد العدوة بإفريقيّة والمغرب. وانقسم على أمصارها وبها الآن منها صبابة على تراجع عمرانها وتناقص دولها.

মওসুলবাসীদের মাঝে একজন তরুণ ছিল যিরইয়াব নামের। সে তাদের কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা করে, এতে পারঙ্গম হয়। এতে হিংসাপরায়ণ হয়ে মওসুলবাসীরা তাকে মাগরিবে পাঠিয়ে দেয়। যিরইয়াব এভাবে আন্দালুসের আমীর হাকাম বিন হিশাম বিন আব্দুর রহমান আদ-দাখেলের সাক্ষাত লাভ করে। আমীর তাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সম্মান প্রদর্শন করে। বাহনে চড়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। নানান পুরষ্কার, উপহার ও ভাতা দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়। তার দরবারের সভাসদদের মাঝে বিষেশ সম্মান প্রদান করে। এভাবে আন্দালুসে সঙ্গীত শিল্পের উত্তরসূরী তৈরি হয় যার ধারাবাহিকতা ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্তিকাল পর্যন্ত সেখানে চলে এসেছে। বিশেষ করে ইশবেলিয়া (Seville) সঙ্গীতের ব্যাপক চর্চা হয়। তবে এর সমৃদ্ধিকাল শেষ হয়ে যাবার পর সঙ্গীতশিল্প আফ্রিকার উপকূলে ও মাগরিবে স্থানান্তরিত হয় ও এর শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সভ্যতার বিনাশ ও সাম্রাজ্যের অবক্ষয় হওয়া সত্তেও আজো এর অবশিষ্টাংশ খুঁজে পাওয়া যায়।

وهذه الصّناعة آخر ما يحصل في العمران من الصّنائع لأنّها كماليّة في غير وظيفة من الوظائف إلّا وظيفة الفراغ والفرح. وهو أيضا أوّل ما ينقطع من العمران عند اختلاله وتراجعه. والله أعلم.
‌‌

সঙ্গীতশিল্প সভ্যতার সর্বশেষ ধাপে এসে অর্জিত হয়। কেননা এটা সভ্যতার পূর্ণাঙ্গতার সাথে সম্পৃক্ত, অবসর ও চিত্ত বিনোদন ব্যতীত এর কোন উপযোগিতা নেই। আর সভ্যতার অবক্ষয় ও অধঃপতনের ধাপে এই শিল্পটিই সর্বপ্রথম বিলুপ্ত হয়ে যায়। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

সূত্র : আল-মুকাদ্দিমা, ইমাম ইবন খালদুন।


Comments

Popular posts from this blog

মিউজিকের বিপক্ষে প্রচলিত কিছু হাদীসের জবাব।

নিচের লেখাটি আমার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সাথে হয়েছিল, তাই “তুমি” সম্বোধন ব্যবহার করেছি। প্রথমে আবু উমামার হাদীস নিয়ে কথা বলা যাক। হাদীস ১: তুমি নিচের হাদিসটি উল্লেখ করেছ। عَنْ أَبِيْ اُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لاَ تَبِيْعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوْهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوْهُنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ. আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০)। উত্তর : - এই হাদীস দয়ীফ জিদ্দান (অতি দূর্বল), এমন হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণ দেয়া জায়েয নয়। মিশকাতে এই হাদীস উল্লেখ করে গ্রন্থকার বলেন: رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعلي بن يزِيد الرواي يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ “হাদীসটি আহমদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযি বলেছেন — এটি গরীর (একক সুত্রে বর্ণিত) হাদীস। আর বর্ণনাকারী আলী বিন ইয়াযীদ হাদীসে ...